ত্যাগীরা অভিমানী হয়, কিন্তু বেঈমান নয়..
মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
সাজ্জাদ হোসেন স্বপন,
কখনো আওয়ামীলীগের সাথে বেঈমানি করেনি, মেধা, শ্রম, প্রজ্ঞা দিয়ে অত্যন্ত সুনিপূনভাবে মাননীয় সাংসদ জনাব এড.আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের ছয়টি নির্বাচন করেছেন
প্রথম নির্বাচন:
১৯৮৬ সালে অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস(এম,পি) সাহেবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে জীবন বাজি রেখে জনাব, এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের নির্বাচন করেন।
দ্বিতীয় নির্বাচন:
১৯৯১ সালে সাবেক আই.জি জনাব খালেক সাহেবের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের মনোনায়নের জন্য অগ্রনি ভুমিকা রাখেন এবং যুব মন্ত্রী জনাব আবুল কাসেম সাহেবের বিরুদ্ধে এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন।
তৃতীয় নির্বাচন:
১৯৯৬ সালে এড. লতিফ সাহেব এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী ওয়াহেদ-উন-নবীর বিরুদ্ধে এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের নির্বাচন পরিচালনা করেন।
চতুর্থ নির্বাচন:
২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস(এম.পি) সাহেবের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের একাংশ নৌকার বিরোধীতা করেছিল তখন নিজের জিবন বাজি রেখে এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
পঞ্চম নির্বাচন:
২০০৮ সালে বিএনপি প্রার্থী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস.এম আলাউদ্দিন সাহেবের বিরুদ্ধে দায়িত্ব নিয়ে এড. আব্দুল মতিন (খসরু) সাহেবের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
ষষ্ঠ নির্বাচন:
২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে এবং জামাত বিএনপির আন্দোলনের মুখেও এড. আব্দুল মতিন খসরু সাহেবের পক্ষে ও নৌকার প্রধান এজেন্ট হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে জয়যুক্ত করেছেন।
এই ছয়টি জাতীয় নির্বাচনসহ ইউপি নির্বাচনে প্রত্যক্ষ কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার দলীয় প্রার্থীদের বাছাই করে পাশ করানোর যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে মেধা, শ্রম-ঘাম, অর্থ,পরিবহন দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে নিজের জীবন বাজী রেখে নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দলকে আগলে রেখেছেন নিজের পরিবারের মতোন। পরবর্তিতে কুমিল্লা দ: জেলা আওয়ামীলীগের ১ম যুগ্ন সাধারন সম্পাদকের মতো গুরুদায়িত্ব পেয়েও বুড়িচংয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন পুরো উপজেলার আধুনিকায়নে যোগ করেছেন নতুন মাত্রা।
উপজেলায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ নির্মান করেছেন।
রাজনিতীর বাহিরে সাজ্জাদ হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যেগে ১৯৯৭ সালে দশ কোটি টাকা অর্থ ব্যয় করে কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন, যার প্রতিষ্ঠাতা সাজ্জাদ হোসেন স্বপন নিজেই।
তারপরও সময় সময় বিভিন্ন চক্রান্ত ও কূট কৌশল ষড়যন্ত্রের বেড়া-জালের শিকার হন। তবুও কখনো দলের বিরুদ্ধে ভাবেননি কিংবা বেঈমানী করেননি।
রাজনিতীতে যে চরম বেঈমানী ও অকৃতজ্ঞতা আছে এটাই তার সহিহ প্রমান।